Dhaka ০৪:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

“মেট্রোরেলের ইঞ্জিন বগিসহ বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর মালামাল নিয়ে মোংলায় বিদেশি জাহাজ”

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৩:৫২:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ নভেম্বর ২০২২
  • ৯৬২ Time View
“মেট্রোরেলের ইঞ্জিন বগিসহ বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর মালামাল নিয়ে মোংলায় বিদেশি জাহাজ”
মেহেদি হাসান নয়ন,বাগেরহাট-
মেট্রোরেলের ইঞ্জিন বগি এবং যমুনা নদীর পাড়ে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর মালামাল নিয়ে মোংলা বন্দরে পৌঁছেছে থাইল্যান্ড পতাকাবাহী ‘এসপিএম ব্যাংকক’ জাহাজ। রবিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ৩টায় বন্দরের ৭ নম্বর জেটিতে জাহাজটি নোঙ্গর করে। এখন চলছে বন্দরে আমদানি হওয়া এসব পণ্যের খালাস কাজ। বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার সুত্র এ তথ্য জানায়।
এসপিএম ব্যাংকক জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট এনসিয়েন্ট স্টিম শিপ কোম্পানির ব্যবস্থাপক মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, ‘গত ৫ নভেম্বর জাপানের কোবে বন্দর থেকে ছেড়ে আসা বিদেশি জাহাজে মেট্রোরেলের ১৩ তম চালানে আটটি কোচ ও চারটি ইঞ্জিন ছাড়াও বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর ১৭৮ প্যাকেজের দুটি ক্রেন ও মেশিনারি পণ্য এসেছে। আগামী ডিসেম্বর এবং জানুয়ারীতে আরও দুটি চালান আমদানির মধ্যে দিয়ে ১৪৪টি চালান পূর্ণ হবে মেট্রোরেলের’।
ওয়াহিদুজ্জামান আরও বলেন, রবিবার মোংলা বন্দরে আসা মেট্রোরেলের কোচ এবং বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর মেশিনারি পণ্য খালাস চলছে। এগুলো সোমবার নদী ও সড়ক পথে ঢাকার উত্তরায় মেট্রোরেল এবং যমুনা নদীর পাড়ে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর কাছে পৌঁছানো হবে। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বলেন, ‘দেশের চলমান বড় বড় মেগা প্রজেক্টের পণ্য এই বন্দর দিয়ে আমদানি খালাস হচ্ছে। বন্দরের অত্যাধুনিক ক্রেন দিয়ে এসব পণ্য খালাস করা হচ্ছে। এছাড়া নানা রকম সুযোগ সুবিধা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ায় এই বন্দর ব্যবহারে আগ্রহী হয়ে উঠছে বিদেশি ব্যবসায়ীরা’।
“মোংলায় নৌযান শ্রমিকদের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ”
মেহেদি হাসান নয়ন, বাগেরহাট –
নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র, বেতন সর্বনিম্ন ২০ হাজার টাকা, কর্মরত অবস্থায় মৃত্যু হলে ১০ লাখ টাকার ক্ষতিপূরণসহ ১০টি দাবি নিয়ে মোংলায় সমাবেশের পর বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ নৌ-যান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদ। রবিবার (২৭ নভেম্বর) নৌ-যান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের ব্যানারে বাদ আছর মোংলা পৌর শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মোংলা পৌর মার্কেটের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এরপর সেখানে এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মোংলা নৌ-যান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক মোঃ আনোয়ার হোসেন চৌধুরী সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, মোংলা নৌ-যান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের সদস্য সচীব মাইনুল হোসেন মিন্টু, সদস্য ইলিয়াস মাষ্টার, বাবু হাওলাদার,বাদশা হাওলাদার, আল আমিন হোসেন, আবু তাহের হোসেন, মঞ্জু হাওলাদারসহ অন্যান্যরা।
বক্তারা বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে শ্রমিকরা দিশেহারা। সবশেষ ২০১৬ সালে মজুরি পুননির্ধারণ করেছিল সরকার। গত ৫/৬ বছরে কয়েক দফা দ্রব্যমূল্য বেড়েছে। মজুরি বাড়েনি। এ কারণে সংসার পরিচালনায় হিমশিম খাচ্ছেন তারা। তাই মাসিক সর্বনিম্ন ২০ হাজার টাকা বেতন নির্ধারণ, নৌযান শ্রমিকদের কল্যাণ তহবিল গঠন, মৃত্যুকালীন ১০ লাখ টাকা ভাতা প্রদানের দাবী জানান।
এছাড়া নৌপথে চুরি-ডাকাতি বন্ধ, চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ রাখার পোতাশ্রয় নির্মাণ, নৌ প্রশাসন দ্বারা শ্রমিকদের নির্যাতন বন্ধসহ ১০ দফা দাবির কথা তুলে ধরেন তারা। বিআইডব্লিউটিএ’র হিসেব মতে, সারাদেশে নিবন্ধিত নৌযানের সংখ্যা ১৪ হাজার ৮০৫টি। এতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছে ২ লাখ ১০ হাজার শ্রমিক। তবে প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি।
“ফকিরহাটে স্মার্ট কৃষিমেলায় দেখা মিলল ৬৫ কেজি ওজনের মানকচু”
মেহেদি হাসান নয়ন, বাগেরহাট –
বাগেরহাটের ফকিরহাটে তিন দিনব্যাপী ক্লাইমেট ও স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তি মেলা শুরু হয়েছে। শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে ফকিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে আট্টাকি স্কুল মাঠে মেলায় বিভিন্ন স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তি প্রদর্শন করা হয়।
মেলার অন্যতম আকর্ষণ ৮ ফুট লম্বা ও ৬৫ কেজি ওজনের একটি মানকচু। ফকিরহাট উপজেলার মৌভোগ এলাকার কৃষক অরুপ ঘোষের ক্ষেত থেকে কচুটি মেলায় আনা হয়েছে।কৃষক অরুপ ঘোষ বলেন, কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে পান বরজের পাশে ছাই ও গোবর সার দিয়ে কচু লাগিয়েছিলাম। ১০ কাটা জমির পান বরজের পাশে ১৩০টি কচু লাগিয়েছিলাম। বর্তমানে ১০ কেজি থেকে শুরু করে বরজের পাশে ৬৫ কেজি ওজনের কচু রয়েছে। বাজারে কচুর দাম ও চাহিদা দুটোই ভালো। ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি করে আমরা বিক্রি করতে পারি। মাত্র দুই বছরেই এই কচুটির ওজন ৬৫ কেজি হয়েছে।
ফকিরহাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. নাছরুল মিল্লাত বলেন, স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তিতে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে আমরা এই মেলার আয়োজন করেছি। অরুপ ঘোষ একজন সফল কৃষক। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরামর্শ তিনি সাদরে গ্রহণ করেন। পান বরজের পাশে যেসব কচু রয়েছে, তা অনেক বড়। অরুপের মত সবাই যদি পান বরজ এবং সবজি ক্ষেতের পাশে সাথী ফসল করেন, তাহলে চাষিদের আয় বৃদ্ধি পাবে কয়েকগুণ।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

বোয়ালমারীতে চার বছর কর্মস্থলে না গিয়েও বেতন ভাতা নিচ্ছে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঝুমা !

“মেট্রোরেলের ইঞ্জিন বগিসহ বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর মালামাল নিয়ে মোংলায় বিদেশি জাহাজ”

Update Time : ০৩:৫২:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ নভেম্বর ২০২২
“মেট্রোরেলের ইঞ্জিন বগিসহ বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর মালামাল নিয়ে মোংলায় বিদেশি জাহাজ”
মেহেদি হাসান নয়ন,বাগেরহাট-
মেট্রোরেলের ইঞ্জিন বগি এবং যমুনা নদীর পাড়ে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর মালামাল নিয়ে মোংলা বন্দরে পৌঁছেছে থাইল্যান্ড পতাকাবাহী ‘এসপিএম ব্যাংকক’ জাহাজ। রবিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ৩টায় বন্দরের ৭ নম্বর জেটিতে জাহাজটি নোঙ্গর করে। এখন চলছে বন্দরে আমদানি হওয়া এসব পণ্যের খালাস কাজ। বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার সুত্র এ তথ্য জানায়।
এসপিএম ব্যাংকক জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট এনসিয়েন্ট স্টিম শিপ কোম্পানির ব্যবস্থাপক মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, ‘গত ৫ নভেম্বর জাপানের কোবে বন্দর থেকে ছেড়ে আসা বিদেশি জাহাজে মেট্রোরেলের ১৩ তম চালানে আটটি কোচ ও চারটি ইঞ্জিন ছাড়াও বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর ১৭৮ প্যাকেজের দুটি ক্রেন ও মেশিনারি পণ্য এসেছে। আগামী ডিসেম্বর এবং জানুয়ারীতে আরও দুটি চালান আমদানির মধ্যে দিয়ে ১৪৪টি চালান পূর্ণ হবে মেট্রোরেলের’।
ওয়াহিদুজ্জামান আরও বলেন, রবিবার মোংলা বন্দরে আসা মেট্রোরেলের কোচ এবং বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর মেশিনারি পণ্য খালাস চলছে। এগুলো সোমবার নদী ও সড়ক পথে ঢাকার উত্তরায় মেট্রোরেল এবং যমুনা নদীর পাড়ে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর কাছে পৌঁছানো হবে। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বলেন, ‘দেশের চলমান বড় বড় মেগা প্রজেক্টের পণ্য এই বন্দর দিয়ে আমদানি খালাস হচ্ছে। বন্দরের অত্যাধুনিক ক্রেন দিয়ে এসব পণ্য খালাস করা হচ্ছে। এছাড়া নানা রকম সুযোগ সুবিধা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ায় এই বন্দর ব্যবহারে আগ্রহী হয়ে উঠছে বিদেশি ব্যবসায়ীরা’।
“মোংলায় নৌযান শ্রমিকদের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ”
মেহেদি হাসান নয়ন, বাগেরহাট –
নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র, বেতন সর্বনিম্ন ২০ হাজার টাকা, কর্মরত অবস্থায় মৃত্যু হলে ১০ লাখ টাকার ক্ষতিপূরণসহ ১০টি দাবি নিয়ে মোংলায় সমাবেশের পর বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ নৌ-যান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদ। রবিবার (২৭ নভেম্বর) নৌ-যান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের ব্যানারে বাদ আছর মোংলা পৌর শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মোংলা পৌর মার্কেটের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এরপর সেখানে এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মোংলা নৌ-যান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক মোঃ আনোয়ার হোসেন চৌধুরী সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, মোংলা নৌ-যান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের সদস্য সচীব মাইনুল হোসেন মিন্টু, সদস্য ইলিয়াস মাষ্টার, বাবু হাওলাদার,বাদশা হাওলাদার, আল আমিন হোসেন, আবু তাহের হোসেন, মঞ্জু হাওলাদারসহ অন্যান্যরা।
বক্তারা বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে শ্রমিকরা দিশেহারা। সবশেষ ২০১৬ সালে মজুরি পুননির্ধারণ করেছিল সরকার। গত ৫/৬ বছরে কয়েক দফা দ্রব্যমূল্য বেড়েছে। মজুরি বাড়েনি। এ কারণে সংসার পরিচালনায় হিমশিম খাচ্ছেন তারা। তাই মাসিক সর্বনিম্ন ২০ হাজার টাকা বেতন নির্ধারণ, নৌযান শ্রমিকদের কল্যাণ তহবিল গঠন, মৃত্যুকালীন ১০ লাখ টাকা ভাতা প্রদানের দাবী জানান।
এছাড়া নৌপথে চুরি-ডাকাতি বন্ধ, চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ রাখার পোতাশ্রয় নির্মাণ, নৌ প্রশাসন দ্বারা শ্রমিকদের নির্যাতন বন্ধসহ ১০ দফা দাবির কথা তুলে ধরেন তারা। বিআইডব্লিউটিএ’র হিসেব মতে, সারাদেশে নিবন্ধিত নৌযানের সংখ্যা ১৪ হাজার ৮০৫টি। এতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছে ২ লাখ ১০ হাজার শ্রমিক। তবে প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি।
“ফকিরহাটে স্মার্ট কৃষিমেলায় দেখা মিলল ৬৫ কেজি ওজনের মানকচু”
মেহেদি হাসান নয়ন, বাগেরহাট –
বাগেরহাটের ফকিরহাটে তিন দিনব্যাপী ক্লাইমেট ও স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তি মেলা শুরু হয়েছে। শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে ফকিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে আট্টাকি স্কুল মাঠে মেলায় বিভিন্ন স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তি প্রদর্শন করা হয়।
মেলার অন্যতম আকর্ষণ ৮ ফুট লম্বা ও ৬৫ কেজি ওজনের একটি মানকচু। ফকিরহাট উপজেলার মৌভোগ এলাকার কৃষক অরুপ ঘোষের ক্ষেত থেকে কচুটি মেলায় আনা হয়েছে।কৃষক অরুপ ঘোষ বলেন, কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে পান বরজের পাশে ছাই ও গোবর সার দিয়ে কচু লাগিয়েছিলাম। ১০ কাটা জমির পান বরজের পাশে ১৩০টি কচু লাগিয়েছিলাম। বর্তমানে ১০ কেজি থেকে শুরু করে বরজের পাশে ৬৫ কেজি ওজনের কচু রয়েছে। বাজারে কচুর দাম ও চাহিদা দুটোই ভালো। ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি করে আমরা বিক্রি করতে পারি। মাত্র দুই বছরেই এই কচুটির ওজন ৬৫ কেজি হয়েছে।
ফকিরহাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. নাছরুল মিল্লাত বলেন, স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তিতে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে আমরা এই মেলার আয়োজন করেছি। অরুপ ঘোষ একজন সফল কৃষক। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরামর্শ তিনি সাদরে গ্রহণ করেন। পান বরজের পাশে যেসব কচু রয়েছে, তা অনেক বড়। অরুপের মত সবাই যদি পান বরজ এবং সবজি ক্ষেতের পাশে সাথী ফসল করেন, তাহলে চাষিদের আয় বৃদ্ধি পাবে কয়েকগুণ।